উপহার স্বরূপ

bookmark

প্রাইজমানি
 
 চান্দু লাল সাঁতার কাটতে পারতেন না। তিনি শপথ করেছিলেন যে তিনি সঠিকভাবে সাঁতার না শেখা পর্যন্ত তিনি কখনই জলে পা দেবেন না। 
 সেদিন ছিল সাওয়ানের দিন, গঙ্গা নদীতে প্রচণ্ড উত্তাল ছিল। 
 চান্দুলালের বন্ধু মটকানাথ ব্রহ্মচারী বললেন - "চন্ডুলাল তোমাকে সাঁতার শেখাই। " 
 চন্ডুলাল বললেন - "আমি শপথ করেছি, আমি সাঁতার না আসা পর্যন্ত জলে পা রাখব না" 
 "আরে! এমন কি হতে পারে, জলে না নামলে সাঁতার শেখা যায় না”, মটকানাথ ব্রহ্মচারী বললেন- “এবার হঠ ত্যাগ করে গঙ্গাজীর কাছে যাই”। 
 
 মটকানাথ ব্রহ্মচারী চন্ডুলালকে নিয়ে গঙ্গাজীর কাছে পৌঁছে বললেন - "ওই বোর্ডটি দেখুন - যে ডুবে যাওয়াকে বাঁচায় তাকে পাঁচশত টাকা পুরস্কার - জেলা আধিকারিক আদেশে" 
 "এখন আপনি নদীতে নেমে জোরে চিৎকার করুন - বাঁচান - আমাকে বাঁচাও, এসো, আমি তোমাকে বের করে নিয়ে যাব - এবং দুজনেই পুরস্কারের টাকা ভাগ করে নেবে।" আমার হাঁটু পর্যন্ত জলের কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে আমি জোরে চিৎকার করতে লাগলাম, “আরে ডুবে গেল! বাঁচাও বাঁচাও”
 মটকানাথ ব্রহ্মচারী চোখ দেখিয়ে বললেন- “এখন চুপ কর! কেউ কি হাঁটু গভীর পানিতে ডুবে যায়? আরে এগিয়ে যান - অনুগ্রহ চাই না!?" 
 চন্ডুলাল ভয়ে এগিয়ে গেল এবং গলা পর্যন্ত জল এসে গেলে আবার চিৎকার করতে লাগল। 
 মটকানাথ ব্রহ্মচারী চোখ ঘুরিয়ে বললেন - "আরও বেশি!! আমি না - তুমি ভয় পাচ্ছো কেন" 
 এভাবে দু-তিনবার ঘটল আর চান্দুলাল জলে অনেক এগিয়ে গিয়ে সত্যিই ডুবে যেতে লাগল!! 
 
 “আরে আমি সত্যিই… (ভাল ভালো)… আমি ডুবে যাচ্ছি… বাঁচাও…” 
 মটকানাথ ব্রহ্মচারী কিছু না বলে নদীর ধারে হাসতে থাকলেন। 
 এবার চন্ডুলাল নিঃশ্বাস ফেলতে লাগলো... জোরে চিৎকার করে বললো- “ওরে জারজ! কি করছ... তাড়াতাড়ি... বাঁচাও... পাঁচশ টাকা চাই না...!!??" 
 
 মটকানাথ ব্রহ্মচারী আঙুল দিয়ে ইশারা করলেন- আগের বোর্ডের ওপাশে আরেকটি বোর্ড ছিল.. তাতে লেখা ছিল- 
 "যে ভাসমান মৃতদেহ খুঁজে পাবে তাকে এক হাজার পুরষ্কার - আদেশে জেলা আধিকারিক"