তপস্যার সত্য
তপস্যা
এর সত্যতা বিজয়নগর রাজ্যে খুব ঠান্ডা ছিল। রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের দরবারে এই ঠান্ডা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছিল। পুরোহিত মহারাজকে পরামর্শ দিলেন। 'মহাশয়, এই দিনে যজ্ঞ করা হলে তার ফল ভালো হয়। যজ্ঞের ধোঁয়া দূর-দূরান্তে উঠলে পুরো পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যাবে।'
দরবারীরা এক কণ্ঠে বললেন, 'পুরোহিতের কাছ থেকে খুব ভালো পরামর্শ। মহারাজ নিশ্চয়ই এই পরামর্শ পছন্দ করেছেন। দরবারীরা এক কণ্ঠে বললেন, 'খুব ভালো পরামর্শ পুরোহিতের। মহারাজ নিশ্চয়ই এই পরামর্শ পছন্দ করেছেন। মহারাজ কৃষ্ণদেব রায় বললেন- 'ঠিক আছে। আপনি প্রয়োজন অনুযায়ী আমাদের কোষাগার থেকে টাকা পেতে পারেন।'
'স্যার, এই মহাযজ্ঞ সাত দিন ধরে চলবে। অন্তত এক লাখ স্বর্ণমুদ্রা খরচ হবে। প্রতিদিন সকালে সূর্যোদয়ের আগে নদীর ঠান্ডা জলে দাঁড়িয়ে তপস্যা করব এবং দেবতাদের খুশি করব। আর পরের দিন থেকেই শুরু হল যজ্ঞ। এই যজ্ঞে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ আসেন এবং প্রচুর প্রসাদ বিতরণ করেন।
পুরোহিত জি, যজ্ঞের আগে ভোরবেলা হিমশীতল ঠান্ডায় নদীর ঠান্ডা জলে দাঁড়িয়ে তপস্যা করবেন, দেবতাদের দয়া করুন। এবং দেবী। মানুষ এসব দেখে অবাক হবে। একদিন রাজা কৃষ্ণদেব রায়ও খুব ভোরে পুরোহিতকে তপস্যা করতে দেখতে গেলেন। সাথে তেনালিরামও ছিল। এমন অবস্থায় পুরোহিতকে নদীর ঠান্ডা জলে দাঁড়িয়ে তপস্যা করতে দেখে রাজা কৃষ্ণদেব রায় তেনালীরামকে বললেন, আশ্চর্য! আশ্চর্যজনক ক্যারিশমা! আমাদের পুরোহিত এত কঠিন তপস্যা করছেন। রাষ্ট্রের কল্যাণে তারা কতটা চিন্তা করে!'
'তিনি আছেন। আসুন, মহারাজ... শুধু কাছে যান এবং পুরোহিত জির তপস্যা দেখুন। তেনালীরাম মো. কিন্তু পুরোহিত বলেছেন তপস্যা করার সময় কেউ যেন কাছে না আসে। এতে তার তপস্যায় বাধা সৃষ্টি হবে। রাজা বললেন। পুরোহিত যখন তার তপস্যা শেষ করে ঠান্ডা জল থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন তাকে ফল এবং ফুল দিয়ে সম্মান করুন। রাজা কৃষ্ণদেব রায় তেনালিরামের এই বক্তব্য পছন্দ করলেন। একপাশে বসে পুরোহিতকে তপস্যা করতে দেখে। তখন তেনালীরাম বললেন- 'এখন বুঝলাম। মনে হচ্ছে ঠাণ্ডার কারণে পুরোহিতজির শরীর শক্ত হয়ে গেছে। সে কারণেই সম্ভবত পানি থেকে বের হতে তাদের সমস্যা হচ্ছে। আমি তাদের সাহায্য করি।'
তেনালিরাম নদীর দিকে এগিয়ে গিয়ে পুরোহিতের হাত ধরে টেনে বের করে আনলেন। পুরোহিত জল থেকে বেরিয়ে আসতেই রাজা অবাক হয়ে গেলেন। সে কিছুই বুঝতে পারল না। বললেন, আরে, পুরোহিতের তপস্যার অলৌকিক ঘটনা দেখুন! তার কোমরের নীচের সমস্ত শরীর নীল হয়ে গেছে।'
তেনালিরাম হেসে বললেন, 'এটা কোন অলৌকিক ঘটনা নয় স্যার। দেখুন… রাজা কৃষ্ণদেব রায় হেসে তেনালিরামকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর প্রাসাদের দিকে চলে গেলেন। পুরোহিত তাদের দুজনকে চলে যেতে দেখল।
