তিনটি বিকল্প

bookmark

তিনটি বিকল্প
 
 একবার এক গ্রামে এক কৃষক বাস করত। সেই কৃষকের একটি খুব সুন্দর কন্যা ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তিনি গ্রামের জমিদারের কাছ থেকে অনেক টাকা ধার নিয়েছিলেন। বাড়িওয়ালা ছিল বৃদ্ধ ও কুৎসিত। কৃষকের সুন্দরী মেয়েকে দেখে সে ভাবল কেন ঋণের বিনিময়ে তার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিই না।সব ঋণ মাফ করে দেব। জমিদারের কথা শুনে কৃষক ও কৃষকের মেয়ের মনে হাহাকার হয়ে গেল।তখন জমির মালিক বললেন- চল গ্রামের পঞ্চায়েতে যাই এবং তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমাদের দুজনকেই মেনে নিতে হবে।তারা সবাই মিলে পঞ্চায়েতে গেল এবং তাদের সব বলেছে। তাদের কথা শুনে পঞ্চায়েত একটু ভেবে বলল - 
 
 ব্যাপারটা খুবই জটিল, তাই ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিলাম। জমিদার তার সামনে পড়ে থাকা সাদা-কালো গিরগিটির স্তূপ থেকে একটি কালো এবং একটি সাদা বল তুলে একটি ব্যাগে রাখবে, তারপর মেয়েটি না তাকিয়েই সেই ব্যাগ থেকে একটি ছিপ তুলবে এবং তার ভিত্তিতে সে তিনটি বিকল্প থাকবে :
 
 1। যদি সে কালো প্রতিবন্ধকতা তুলে নেয়, তাকে বাড়িওয়ালাকে বিয়ে করতে হবে এবং তার বাবার ঋণ মাফ হবে।
 
 2। যদি সেই শ্বেতপাথর উঠে যায় তাহলে তাকে বাড়িওয়ালাকে বিয়ে করতে হবে না এবং তার বাবার করও মাফ হবে।
 
 3. মেয়েটি পাথর তুলতে অস্বীকার করলে তার বাবাকে জেলে পাঠানো হবে। তিনি যখন বাধাটি তুলে নিচ্ছিলেন, তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন কৃষকের মেয়েটি দেখলেন যে জমির মালিক কালো দুটোই তুলে ব্যাগে রেখেছেন। তিনি তিনটি পথ দেখলেন: 
 
 1। সে বাধা তুলতে অস্বীকার করে এবং তার বাবাকে জেলে যেতে দেয়।
 
 2। সবাইকে বলুন যে বাড়িওয়ালা দুটি কালো পাথর তুলে নিয়ে সবাইকে ঠকাচ্ছে।
 
 3। তার উচিত চুপ করে থাকা এবং কালো পাথরটি তুলে নেওয়া এবং তার বাবাকে ঋণ থেকে বাঁচানোর জন্য একজন জমিদারকে বিয়ে করে তার জীবন উৎসর্গ করা উচিত। ওটা ব্যাগে রাখল। আর বাধার দিকে না তাকিয়ে হাত থেকে পিছলে যাওয়ার ভান করে, তার বাধা এখন হাজারো বাধার স্তুপে পড়ে কোথাও হারিয়ে গেছে। 
 মেয়েটি বলল- হায় আল্লাহ! আমি কতটা বোকা? কিন্তু তাতে কিছু যায় আসে না।আপনারা ব্যাগের ভিতর দেখেন যে ব্লকের কোন রং বাকি আছে, তাহলে বুঝবেন কোনটা আমি তুলেছিলাম যেটা আমার হাত থেকে পড়ে গেছে।
 
 ব্যাগের বাকি ব্লক কালো ছিল, সবাই ধরে নিল মেয়েটি শুধু শ্বেতপাথর তুলেছে।বাড়িওয়ালার তার চুরি মেনে নেওয়ার সাহস ছিল না।মেয়েটি তার চিন্তায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছে।