প্রবর্তক অবাধ্যতা ভবেতঃ অনুপ্রেরণামূলক গল্প

bookmark

ভূমিকা অবাধ্যতা ভবেত: অনুপ্রেরণামূলক প্রসঙ্গ
 
 একবার গোস্বামী তুলসীদাসজী কাশীতে পণ্ডিতদের মধ্যে ঈশ্বর নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন দু'জন লোক - যারা তুলসীদাসজীর গ্রামের ছিল, সেখানে এলো। তাই দুজনেই গঙ্গা স্নান করতে এসেছিলেন। কিন্তু যখন সৎসঙ্গ সভা ও ভগবত কথোপকথন চলছিল, তখন তিনিও সেখানে বসলেন। দুজনেই তাকে চিনতে পেরেছে। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলতে লাগল। 
 
 একজন বলল- “আরে! ওহ আমার রামবোলা। আমাদের সাথে খেলতেন। সবাই কেমন কথা বলছে, আর মানুষ কত মনোযোগ দিয়ে তার কণ্ঠ শুনছে! এই সব কিসের ধাক্কাধাক্কি।" দেখো সে কেমন ভান করছে! সে আগে এমন ছিল না। তখন কেমন ছিল আমাদের সাথে খেলতে আর এখন কেমন লাগে ছদ্মবেশে! আমার মনে হয় সে ভান করছে। আপনি কেমন পোশাক পরেছেন? আপনি সবাইকে অন্ধকারে রাখতে পারেন, কিন্তু আমরা আপনাকে খুব ভালো করে চিনি। আপনি সবাইকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। তবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব না। আমরা জানি তুমি ভান করছ।" তার মুখ থেকে একটি দোহাই বের হলো -
 
 তুলসী সেখানে যেও না, জন্মভূমির দেশ |
 
 গুণ-অসুবিধা চিহ্নিত করো না, তবে পুরানো নাম ||
 
 মানে গ্রামের ভিক্ষুর যাওয়া উচিত নয়। তার জন্মভূমি। কারণ সেখানকার মানুষ তাদের মধ্যে উদ্ভাসিত গুণাবলি না দেখে পুরনো নামই নিতে থাকবে। কেউ তার জ্ঞান-বিরাগ-ভক্তি থেকে উপকৃত হতে পারবে না। অতি পরিচিতির কারণে তার কাছের মানুষগুলো সঠিক সুবিধা নিতে পারছে না, আবার যারা দূরে থাকে তারা আলেমদের সম্মান করে সুবিধা নিতে পারছে।