মন্দিরের পুরোহিত

bookmark

মন্দিরের পুরোহিত
 
 একবার, একজন সমৃদ্ধ বণিক, যিনি তার গুরুর সাথে পরামর্শ করে সর্বদা কিছু ভাল কাজ করতেন, তিনি গুরুকে বলেছিলেন- “গুরুদেব, আমি অবশ্যই অর্থ উপার্জনের জন্য আমার গ্রাম ছেড়ে এসেছি, তবে আমি সর্বদা ভাবতে থাকি যে। সেখানে এমন একটি মন্দির তৈরি করতে হবে যেখানে পূজার পাশাপাশি খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে, মানুষকে ভালো আচার-অনুষ্ঠানে সংস্কৃতিবান হতে হবে, আশ্রয় দিতে হবে, বস্ত্রহীনের শরীর ঢেকে রাখতে হবে, রোগীদের ওষুধ-ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে। , শিশুরা তাদের ধর্মের প্রকৃত স্বরূপ সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। একথা শুনে গুরু খুশি হয়ে বললেন - "শুধু গ্রামে কেন, এই শহরেও এমন মন্দির তৈরি করা উচিত।" বণিক পরামর্শটি পছন্দ করেন এবং দুটি মন্দির তৈরি করেন, একটি তার গ্রামে এবং অন্যটি তার শহরে, যেখানে তিনি তার পরিবারের সাথে থাকতেন। উভয় মন্দিরই শীঘ্রই জনসাধারণের শ্রদ্ধার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। কিন্তু মাত্র কয়েক দিন কেটেছিল। যেটি বণিক দেখতে পান। যে শহরের লোকেরা গ্রামের মন্দিরে আসতে শুরু করে, অথচ সেখানে পৌঁছনোর পথ খুব কঠিন।গয়া এবং পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করলেন।গুরুজি কিছু একটা চিন্তা করলেন এবং তারপর তাকে গ্রামের মন্দিরের পুরোহিতকে ডেকে সেবা করার পরামর্শ দিলেন। শহরের মন্দির। গ্রামের পুরোহিতকে গ্রামে এবং গ্রামের পুরোহিতকে শহরে সেবা করার জন্য নিযুক্ত করে তিনি একই কাজ করেছিলেন।কয়েক দিন অতিবাহিত হলে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে গ্রামের লোকেরা এখন শহরের মন্দিরের দিকে ঝুঁকছে। এবার তিনি বিস্ময়ের সাথে সাথে অস্থিরও বোধ করতে লাগলেন।এক মুহূর্ত দেরি না করে হাত জোড় করে গুরুজীর কাছে গিয়ে বললেন-“আপনার আদেশ অনুযায়ী আমি উভয় পুরোহিতকেই বদলি করেছি, কিন্তু সমস্যা আগের চেয়েও গুরুতর।” জানা যায়, এখন আমার গ্রামের পরিচিতজন ও পরিবারের লোকজন ভোগান্তি ও খাজনা পরিশোধ করে শহরের মন্দিরে আসতে শুরু করেছে।এটা দেখি না।বললেন- অবাক ও ঝামেলা ছাড়ুন।আসলে গ্রামের পুরোহিতরা,এটা। তাদের ভাল স্বভাব যে মানুষ একই মন্দিরে যেতে চায়, যেখানে তারা থাকে। মানুষের প্রতি তার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা, তাদের দুঃখে অসুখী হওয়া, তাদের সুখে খুশি থাকা, তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ মানুষকে তার প্রতি আকৃষ্ট করে এবং মানুষ আপনাআপনিই তার প্রতি আকৃষ্ট হয়।