শেয়াল ভান
কাঁঠালের ভান করা
অনেক দিন আগে মিথিলার জঙ্গলে একটি শেয়াল বাস করত। সে খুব অলস ছিল। তার পেট ভরানোর জন্য খরগোশ ও ইঁদুর তাড়া করা এবং শিকার করা খুব ভারী মনে হয়েছিল। একজনকে শিকার করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তার মন ছিল পৈশাচিক। তিনি এই কৌশলটি করতে থাকেন যে কীভাবে এমন খেলার সাথে লড়াই করা যায় যাতে হাত-পা না নড়াচড়া করে খাবার পাওয়া যায়। খেয়ে ঘুমিয়েছে। একদিন একই চিন্তায় মগ্ন শিয়াল একটা ঝোপে বসে ছিল। তাদের মধ্যে একটি মোটা ইঁদুর ছিল, যাকে অন্যান্য ইঁদুর 'সর্দার' বলে ডাকছিল এবং তার আদেশ পালন করছিল। শেয়াল তাদের দেখতে থাকে। মুখ থেকে লালা ঝরতে থাকে। তখন তার মাথায় একটা আইডিয়া এল। কিছু দূরে ঐ ইঁদুরের বিল ছিল। শেয়াল ফিরে এল। পরদিন সকালে সে ঐ ইঁদুরের বিলের কাছে গিয়ে এক পায়ে দাঁড়াল। তার মুখ ছিল উদীয়মান সূর্যের দিকে। চোখ বন্ধ। একটা ইঁদুর শেয়ালের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলো, "জ্যাক মা, তুমি এক পায়ে এভাবে দাঁড়িয়ে আছো কেন?"
শেয়াল একটা চোখ খুলে বললো, "বোকা, তুমি কি কখনো আমার কথা শুনেনি? আমি যদি চারটি পা নিচে রাখি তবে পৃথিবী আমার বোঝা সামলাতে পারবে না। এটা ড্রপ হবে. এছাড়াও আপনি সব ধ্বংস হবে. তোমার কল্যাণের জন্য, আমাকে এক পায়ে দাঁড়াতে হবে।"
ইঁদুরগুলো কিচিরমিচির করে। তারা শেয়ালের কাছে এসে দাঁড়াল। ইঁদুরের প্রধান বললেন, "হে মহান শেয়াল, আপনার সম্পর্কে কিছু বলুন।" তপস্যা শেষে এক পায়ে দাঁড়িয়ে তপস্যা করলাম। আমার তপস্যার শেষে সমস্ত দেবতা আমার উপর ফুল বর্ষণ করলেন। ভগবান আবির্ভূত হয়ে বললেন, আমার দৃঢ়তার কারণে আমার ওজন এত বেড়ে গেছে যে, আমি যদি চারটি পা মাটিতে রাখি, তাহলে পৃথিবী পতিত ব্রহ্মাণ্ডকে ফেটে অন্য দিকে বেরিয়ে আসবে। পৃথিবী আমার ধরার বাইরে বিশ্রাম নেবে। তারপর থেকে এক পায়ে দাঁড়িয়ে আছি। আমি চাই না আমার কারণে অন্য জীবের কষ্ট হোক।" একটি ইঁদুর জিজ্ঞেস করল, "তপস্বী চাচা, আপনি সূর্যের দিকে মুখ করে আছেন কেন?"
শেয়াল উত্তর দিল "সূর্য পূজার জন্য।"
"আর তোমার মুখ খোলা কেন?" দ্বিতীয় ইঁদুরটি বলল।
“হাওয়া খেতে! শুধু হাওয়া খেয়ে বেঁচে আছি। আমার খাওয়ার দরকার নেই। আমার দৃঢ়তার শক্তি পেটের বাতাসকে বিভিন্ন খাবারে পরিণত করে। শেয়াল বললো। এখন শিয়াল থেকে তার সব ভয় চলতেই থাকে। তারা তার আরও কাছাকাছি চলে আসে। ইঁদুরের উপর তার কথার প্রভাব দেখে বোকা শেয়াল মনে মনে খুব হাসল। এখন ইঁদুররা হয়ে গেল মহান তপস্বী শেয়ালের ভক্ত। শেয়াল এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকত এবং ইঁদুররা তার চারপাশে বসে ঢোলক, মাঝির, খড়তাল এবং চিমটি বহন করে তার গান গাইত। ভক্তি রসে এবং তাদের গর্তে প্রবেশ করত, যদি হত, তাহলে শেষ তিন-চারটি ইঁদুরকে ধরে শেয়াল খেয়ে ফেলত। তারপর সারা রাত বিশ্রাম, ঘুম আর ঝাঁকুনি দিতেন। ধীরে ধীরে ইঁদুরের সংখ্যা কমতে থাকে। এই জিনিস ইঁদুরের মাথার চোখের আড়াল ছিল না। একদিন সর্দার শিয়ালকে জিজ্ঞেস করলেন, “হে মহাত্মা শিয়াল, আমার দলের ইঁদুর মনে হচ্ছে আমার মধ্যে কমছে। কেন এমন হচ্ছে?”
শেয়াল আশীর্বাদের ভঙ্গিতে হাত তুলে বললো, “ওরে বুদ্ধিমান ইঁদুর, এটা হতে বাধ্য। যে আন্তরিক চিত্তে আমার ভক্তি গ্রহণ করে সে শারীরিকভাবে বৈকুণ্ঠে যাবে। অনেক ইঁদুর ভক্তির ফল কাটছে।" এটা কি তার পেট নয়, ইঁদুররা কোথায় যাচ্ছে? স্তবগান শেষ হওয়ার পর ইঁদুরগুলো গর্তের মধ্যে ঢুকে গেল। শিয়াল শেষ ইঁদুরটিকে ধরতে চেয়েছিল।
ইঁদুরের মাথা আগে থেকেই সতর্ক ছিল। সেই বাজি মেরে শেয়ালের থাবা রক্ষা পেল। বাস্তবতা জানার সাথে সাথে সে শেয়ালের ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং বাকি ইঁদুরকে আক্রমণ করতে বলে। সেই সাথে শেয়ালের গলায় দাঁত পুঁতে দিল। বাকি ইঁদুরগুলোও শেয়ালের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই মহাত্মাকে শিয়ালকে কঙ্কালের শিয়াল বানিয়ে ফেলে। শুধু তার হাড়ের খাঁচা রয়ে গেল।
