সত্যিকারের বন্ধুত্ব
সত্যিকারের বন্ধুত্ব
সন্ধ্যায় অফিস থেকে বাসায় ফিরলে বউ বললো আজ তোমার ছোটবেলার বন্ধুরা এসেছিল, তাদের দশ হাজার টাকার জরুরি প্রয়োজন, আমি তোমার আলমারি থেকে টাকা বের করে তাদের দিয়ে দিলাম। আপনি যদি কোথাও লিখতে চান তবে লিখুন। এ কথা শুনে তার মুখ বিবর্ণ হয়ে গেল, চোখ ভিজে গেল, উদাসীন হয়ে গেল। বউ দেখল- আরে! ব্যাপারটা কি. আমি কি কিছু ভুল করবেন? তারা তাদের সামনে আপনাকে ফোনে জিজ্ঞাসা করা পছন্দ করে না। তুমি ভাববে তোমাকে না চেয়ে এত টাকা কিভাবে দিলাম। কিন্তু আমি শুধু জানতাম যে সে তোমার ছোটবেলার বন্ধু। আপনারা দুজন ভালো বন্ধু, তাই এই সাহস নিয়েছি। কোনো ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
আপনি আমার বন্ধুকে টাকা দিয়েছেন বলে আমি দুঃখিত নই। আপনি সঠিক কাজ করেছেন. আমি খুশি যে আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি দুঃখিত যে আমার বন্ধু কষ্টে আছে, আমি কিভাবে বুঝতে পারি না। সেই দশ হাজার টাকার প্রয়োজন দেখা দিল। আমি তখন তার অবস্থার খোঁজও করিনি। আমি কল্পনাও করিনি যে সে কষ্ট পাবে। আমিও এতটাই স্বার্থপর যে বন্ধুর অসহায়ত্ব বুঝতে পারিনি। যে বন্ধুত্বে দেওয়া-নেওয়ার গণিত থাকে, তা শুধু নামেই বন্ধুত্ব। এর মধ্যে কোনো সখ্যতা ছিল না। আমরা যদি কারো জন্য একটা কাজ করে থাকি, তাহলে সামনের মানুষটাও আমাদের কাজ করবে, এটা আশা করা বন্ধুত্ব নয়। বন্ধুত্ব হল হৃদয়ের দরজার নীরব ঘণ্টা, একটি নীরব ঘণ্টা আছে, যা বেজে বা না বাজে, আমরা যেন ভেতর থেকে তার আওয়াজ শুনতে পাই। এটাই প্রকৃত বন্ধুত্ব।
