সান্তা এবং শীতকাল
সান্তা এবং শীত
একবার সান্তাকে গ্রামের সরপঞ্চ করা হয়েছিল। গ্রামবাসীরা ভেবেছিল ছেলেটি শিক্ষিত, বুদ্ধিমান, সে যদি সরপঞ্চ হয় তাহলে সে গ্রামের উন্নতির জন্য কাজ করবে। শীত কতটা শক্তিশালী হবে। সান্তা সাথে সাথে শহরের দিকে রওনা দিল। সেখানে গিয়ে আবহাওয়া দফতরে খোঁজখবর নেওয়ার পর আবহাওয়া দফতর বলল- সরপঞ্চ সাহেব, এবার খুব ঠাণ্ডা পড়বে। গ্রামবাসীরা বিশ্বাস করত তাদের সরপঞ্চ সাহেব শিক্ষিত। আপনি যদি শহর থেকে জেনে এসে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই ঠিক বলছেন। গ্রামবাসীদের চোখে সান্তার সম্মান বেড়ে গেল।
প্রচণ্ড শীতের কথা শুনে গ্রামবাসীরা শীত এড়াতে কাঠ সংগ্রহ করতে শুরু করে। সান্তা আবার সেগুলো আরেকদিনের জন্য পিছিয়ে দিয়ে শহরের আবহাওয়া দফতরে পৌঁছে গেল। এবার শীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে যাবে। সান্তার কথা শুনে গ্রামের লোকেরা পাগলের মতো কাঠ কুড়াতে থাকে। এভাবে আরো পনেরো দিন চলে গেল কিন্তু শীতের কোন চিহ্ন দেখা গেল না। গ্রামবাসীরা এসেছিলেন সান্তার কাছে। সান্তা আবার আবহাওয়া দফতরে পৌঁছল।
আবহাওয়া দফতরের লোকেরা আবার একই উত্তর দিল সরপঞ্চ সাহেব, আপনি দেখতে যান শীতের কী অত্যাচার। সান্তা আবার গ্রামে এসে একই কথা বলল। এখন গ্রামবাসী সব কাজ ফেলে শুধু কাঠ সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। এভাবে আরো পনেরো দিন কেটে গেল। কিন্তু শীত শুরু হয়নি।
গ্রামবাসীরা সান্তাকে অভিশাপ দিতে শুরু করেছে। সান্তা তার কাছে আরও একদিন সময় চাইলেন। সান্তা তৎক্ষণাৎ আবহাওয়া দফতরের কাছে পৌঁছলে তিনি আবার উত্তর দেন যে সরপঞ্চ সাহেব এবার শীতের সব রেকর্ড ভাঙতে চলেছেন। এখন সান্তার ধৈর্য্যও উত্তর হয়ে গেছে। পাগলের মতো কাঠ কুড়াচ্ছে প্রতিবেশী গ্রামবাসীরা। তার মানে শীত খুব জোরে যাচ্ছে।
