অধরা হাতির গল্প
চাদদন্ড হাতির গল্প
হিমালয়ের ঘন অরণ্যে এক সময় সাদা হাতির দুটি স্বতন্ত্র প্রজাতি ছিল - চাদদন্ত এবং উপোসাথা। ছাঁটাই করা হাতি সাদা রঙের এবং ছয়টি দাঁত ছিল। (পালি সাহিত্যে এর উল্লেখ আছে।) কাঞ্চনের এক গুহায় বাস করতেন হস্তিদের রাজা। তার মাথা ও পা ছিল রুবির মত লাল ও চকচকে। তার দুই রানী ছিল - মহাসুভদ্দা এবং চুল্লাসুভদ্দা। লেকের ধারে ফুলে ভরা একটি শালগাছও ছিল। গজরাজ কৌতুকপূর্ণ ভঙ্গিতে তার কাণ্ড দিয়ে শাল গাছের একটি ডাল নাড়ালেন। প্রসঙ্গত, গাছের ফুল ও পরাগ ঢেকে দেয় মহাসুভদ্দা। কিন্তু গাছের শুকনো ডাল ও ফুল চুল্লাসুভদ্দার ওপর পড়ে। চুল্লসুভদ্দা এই ঘটনাকে কাকতালীয় না ভেবে নিজেকে অপমানিত মনে করেন। রাগান্বিত চুল্লাসুভদ্দা তার স্বামী ও তাদের বাড়ি ছেড়ে কোথাও চলে যান। এরপর ছদন্তরাজের অক্লান্ত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। কিন্তু ছদন্তরাজের প্রতি তার নস্টালজিয়া ও ক্ষোভ এতই প্রবল ছিল যে তার পুনর্জন্মের পরেও সে প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলতে থাকে। একটি অনুকূল উপলক্ষ্যে তিনি রাজাকে ছদন্তরাজের দাঁত পেতে প্ররোচিত করেন। ফলস্বরূপ, রাজা উল্লিখিত উদ্দেশ্যে দক্ষ নিষাদের একটি দল তৈরি করেন, যাদের নেতা ছিলেন সোনুত্তর। তিনি সেখানে একটি গর্ত খুঁড়ে কাঠ ও পাতা দিয়ে ঢেকে দেন। তারপর চুপচাপ গাছের গুঁড়িতে লুকিয়ে রইল। যখন ছদন্তরাজ সেই গর্তের কাছাকাছি আসেন, তখন সোনুত্তর তাকে একটি বিষ-নিভে যাওয়া তীর ছুড়ে দেন। তীরের আঘাতে আহত ছদন্ত যখন সোনুত্তরকে ধনুক হাতে লুকিয়ে থাকতে দেখে তাকে হত্যা করতে দৌড়ে গেল। কিন্তু সোনুত্তর তপস্বীদের গেরুয়া পোশাক পরেছিলেন, যার কারণে গজরাজ নিষাদকে জীবন দিয়েছিলেন। জীবনের জন্য ভিক্ষা করার পর সনুত্তরের হৃদয় পরিবর্তন হয়েছিল। ভাব-বিহ্মবল সোনুত্তর ছদন্তকে সমস্ত কথা বললেন যে কেন তিনি দাঁত তোলার উদ্দেশ্যে সেখানে এসেছেন।
যেহেতু অপব্যয়ের শক্ত দাঁত ছেলেকে কামড়াতে পারেনি, তাই মৃত্যুর আগে সে নিজেই নিজের কাণ্ড দিয়ে দাঁত কেটে সোনুতরকে দিয়েছিল।মৃত্যুর ধাক্কা সামলাতে না পেরে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়।
