একটি শীতের রাত একটি হৃদয় স্পর্শ গল্প
একটি শীতের রাত একটি দুঃখজনক হৃদয় ছোঁয়া গল্প
মানবিক সংবেদনশীলতাকে নাড়া দেয় এমন একটি দুঃখজনক গল্প
আমি ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। এমনকি গাড়ির জানালা বন্ধ রেখেও.. যেখান থেকে ঠান্ডা বাতাস আসছে.. আমি সেই গর্তটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করলাম.. কিন্তু ব্যর্থ হলাম...
পৌছালাম...
রাত বারোটা বাজে, আমি চিৎকার করতে লাগলাম। বাড়ির বাইরে গাড়ি….অনেকক্ষণ হর্ন বাজালো…হয়তো সবাই ঘুমাচ্ছিল…
10 মিনিট পর সে নিজেই নেমে গেট খুলে দিল... নীরবতার মধ্যে আমার জুতোর আওয়াজ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে...
যখন আমি গাড়িতে উঠে আবার গেট বন্ধ করতে শুরু করলাম, দেখলাম 8-10 বছরের একটি শিশু, আমার বাড়ির সামনের ফুটপাতে তার কুকুরের সাথে ঘুমাচ্ছে… যেটি আমি একটি ছেঁড়া চাদর পরেছিলাম…
আমি চেষ্টা করেছি যখন আমি তাকে দেখেছিলাম তখন তার ঠান্ডা অনুভব করতাম, তখন আমি পুরোপুরি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম
আমি মন্টে কার্লোর একটি দামি জ্যাকেট পরেছিলাম, তারপরও আমি ঠান্ডাকে অভিশাপ দিচ্ছিলাম... এবং দরিদ্র শিশুটি... আমি তার সম্পর্কে ভাবছিলাম আমি ভাবছিলাম যে কুকুরটি বিছানা ছেড়ে চলে গেছে শিশুটি এবং আমার গাড়ির নিচে ঘুমিয়ে পড়েছিল।
তারপর আমি পালিয়ে না গিয়ে কুকুরটিকে সেখানে ঘুমাতে দিলাম... আর বেশি শব্দ না করে পেছনের তালা খুলে ঘরে ঢুকলাম... সবাই ঘুমাচ্ছিল... আমি চুপচাপ আমার রুমে চলে গেলাম। মনে এলো… ভাবলাম আমি কতটা স্বার্থপর… আমার কাছে কম্বল, চাদর, কুইল্ট সবই ছিল বিকল্প হিসেবে… কিন্তু সেই শিশুটির কাছে একটি আধ বাঁধা চাদর ছিল… তবুও সেই শিশুটি তার সাথে ছিল। আমি অর্ধেক বাঁধা চাদরটি ভাগ করে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। কুকুরের সাথে আর ঘরে পড়ে থাকা কম্বল ও চাদর কাউকে দিতেও পারিনি...
এই ভাবতে ভাবতে কখন যে আমার চোখ আটকে গেল টেরই পেলাম না...পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলাম। বাড়ির বাইরে ভিড়। সেই শিশুটি কারো কাছে কোন পার্থক্য করেনি...সেই কুকুরটি তার ছোট্ট বন্ধুর পাশে চুপচাপ বসে ছিল...যেন তাকে তুলতে চাইছে!
বন্ধুরা, এই গল্পটি শুধু গল্প নয়, এটি আজ এটা মানুষের সত্য। মনুষ্যত্ব যদি মানুষের থেকে চলে যায়, তাহলে সে আর মানুষ থাকে না এবং দানব হয়ে যায়… এবং সম্ভবত আমাদের অধিকাংশই রাক্ষস হয়ে গেছে। আমরা নিজেদের জন্য জন্মেছি।আসুন...আসুন কিছু গরীব মানুষকে খাওয়াই...আসুন...কিছু গরীব শিশুকে শিক্ষিত করার শপথ নিই...আসুন আমরা আবার মানুষ হই!
