ছোট মন্দ বড় মন্দের পথ খুলে দেয়

bookmark

ছোট মন্দ বড় মন্দের পথ খুলে দেয়
 
 নওশেরওয়ান ইরানের একজন অত্যন্ত ন্যায়পরায়ণ রাজা ছিলেন। ছোটখাটো বিষয়েও ন্যায়ের ভারসাম্য ছিল তাঁর হাতে। তিনি তার আচার-আচরণে সবচেয়ে বেশি নজর রাখতেন। 
 
 একবার সম্রাট বনে বেড়াতে গেলেন। তার সঙ্গে কয়েকজন চাকরও ছিল। ঘোরাঘুরি করতে করতে তিনি চলে আসেন শহর থেকে অনেক দূরে। এদিকে সম্রাট ক্ষুধার্ত অনুভব করলেন। সম্রাট চাকরদের বললেন, এখানে খাবার তৈরির ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে খাবার তৈরি করা হয়। সম্রাট খেতে বসলে সবজিতে লবণ কম অনুভব করেন। সে তার ভৃত্যদের বললো গিয়ে গ্রাম থেকে নুন আনতে।
 
 গ্রামটি দুই ধাপ দূরে। এক ভৃত্য চলে যাবার সময় রাজা বললেন, 'দেখুন, যতটুকু লবন আনবেন ততটুকুই দিন।'
 
 এই কথা শুনে চাকরটি সম্রাটের দিকে তাকাল। বললেন, 'সরকার কার কাছে লবণ জাতীয় কিছুর টাকা নেবে তা কেন ভাবছেন?'
 
 রাজা বললেন, 'না, তুমি তাকে টাকা দিয়ে আসবে।' ভৃত্যটি পরম আদরের সাথে বললো, 'হুজুর, যে তোমাকে নুন দেয়, তাতে তার কিছু যায় আসে না, বরং সে খুশি হবে যে সে তার রাজার সেবায় তার অমূল্য অবদান রাখছে।'
 
 তখন বাদশাহ বললেন, 'ভুলে যেও না যে ছোট জিনিস দিয়েই বড় জিনিস তৈরি হয়। ছোট মন্দ বড় মন্দের পথ খুলে দেয়। আমি যদি গাছ থেকে একটি ফল ছিঁড়ে ফেলি। তাই আমার সৈন্যরা সেই গাছে একটি ফলও রাখবে না। জ্বালানির জন্য গাছ কাটা সম্ভব। ঠিক আছে, একটি ফলের কোন দাম নেই, কিন্তু সম্রাটের একটি ছোট কথা বলে কি বড় অন্যায় করা যায়। যিনি সরকারের সিংহাসনে বসেন তাকে সব সময় সজাগ থাকতে হয়।'