তেনালিরামের ফেটিশ কথা বলছে
তেনালিরামের এই ফেটিশ
কথা শুনে, সবাই দ্বিতীয় দিন থেকেই টেবিল তৈরি করতে শুরু করে। সবাই একের পর এক ছক তৈরির প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছিল। টেবিলগুলো একটার পর একটা ছিল। রাজা সকলের মূকনাট্য দেখলেন, কিন্তু কোথাও তেনালিরামের মূকনাট্য দেখতে পেলেন না।
তিনি চিন্তায় পড়ে গেলেন এবং তারপর তিনি তার দরবারীদের জিজ্ঞেস করলেন, 'তেনালিরামকে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। এমনকি তার চোখও দেখা যাচ্ছে না। সর্বোপরি, তেনালিরাম কোথায়?'
'স্যার, টেনালিরাম কোথায় জানেন কিভাবে একটি মূকনাট্য তৈরি করতে হয়? সে দেখে, ঢিবির ওপর কালো রঙে আঁকা একটি কুঁড়েঘর এবং তার সামনে একটি কুৎসিত ফেটিশ দাঁড়িয়ে আছে। এটা তার টেনালিরামের মূকনাট্য।' মন্ত্রী ব্যঙ্গাত্মক কণ্ঠে বললেন। এটা কি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি?' '
জি মহারাজ, এটা আমার মূকনাট্য এবং আমি যা তৈরি করেছি, আমি এটাকে জিজ্ঞেস করে উত্তর দেব, কে?' এই বলিয়া তেনালিরাম ফেটকে জিজ্ঞাসা করিলেন, 'সে কথা বলছ না কেন? মহারাজার প্রশ্নের উত্তর দাও। কিন্তু আমি মারা যাইনি। একবার মরেছে, আবার জন্ম নিয়েছে। আজকে আপনি আপনার চারপাশে যা দেখছেন যেমন ক্ষুধা, দারিদ্র, নৃশংসতা, নিপীড়ন ইত্যাদি…. এই সব আমার দ্বারা করা হয়. এখন আমাকে কে মারবে?' এই বলে ফেট একটা জোরে ফিসফিস করল।
তার কথা শুনে রাজা কৃষ্ণদেবরায় রেগে গেলেন। সে রেগে বললো, 'আমি এখন আমার তরবারি দিয়ে এই মূর্তিটাকে টুকরো টুকরো করে ফেলছি।' 'ফেটিশ টুকরো টুকরো হয়ে গেলে আমি কি মারা যাব? মূর্তি ভাঙলে কি মানুষের দুর্ভোগ দূর হবে?' এই বলে মূর্তির ভেতর থেকে একজন লোক বেরিয়ে এসে বলল, 'স্যার, দুঃখিত। এটা কোন বাস্তবতা ছিল না, এটি একটি মূকনাট্য ছিল।
