দুষ্টু বানর
দুষ্টু বানর
এক সময় শহর থেকে কিছু দূরে একটি মন্দির তৈরি হচ্ছিল। মন্দিরে প্রচুর কাঠের কাজ ছিল, তাই অনেক শ্রমিক যারা কাঠ কাটার কাজে নিয়োজিত ছিল। এদিক-ওদিক পড়ে ছিল কাঠের লটকন আর কাঠের লোম কাটার কাজ চলছিল। দুপুরের খাবার খেতে সব শ্রমিককে শহরে যেতে হয়, তাই বিকেলে এক ঘণ্টা কেউ ছিল না। একদিন খাওয়ার সময় হলে সব শ্রমিক কাজ ফেলে চলে গেল। একটি লগ অর্ধেক চেরা বাকি ছিল. অর্ধেক কাটা লগে একটি কাঠের স্পাইক আটকে শ্রমিকরা চলে যায়। এতে করে করাতটিতে পুনরায় প্রবেশ করা সহজ হয়। তাদের মধ্যে একটি দুষ্টু বানরও ছিল, যে অর্থহীন জিনিস নিয়ে খোঁচাখুঁচি করত। ছটফট করার অভ্যাস ছিল তার। বানরদের সর্দার সবাইকে নির্দেশ দিলেন, সেখানে পড়ে থাকা জিনিসপত্রের সঙ্গে কোনো প্রকার বদনাম না করতে। সব বানর গাছের দিকে চলে গেল, কিন্তু সেই শয়তান বানর, সবার চোখ বাঁচিয়ে পিছনে থেকে থমকে যেতে লাগল। এইটুকুই, সে তার উপর পড়ে গেল এবং মাঝখানে ঢোকানো পেরেকের দিকে তাকাতে লাগল। তারপর পাশে পড়ে থাকা করাতের দিকে তাকাল। ওটা তুলে কাঠের উপর ঘষতে লাগল। তার ভেতর থেকে একটা কটমট শব্দ বেরোতে শুরু করলে সে রাগে করাতটা মারল। ওই বানরদের ভাষায় কিরর-কিরর অর্থ ছিল 'দুষ্টু'। সে আবার লগের মাঝখানে আটকে থাকা পেরেকের দিকে তাকাতে লাগল।
তার মনে ভাবতে লাগল লগের মাঝখান থেকে এই পেরেকটা সরিয়ে দিলে কি হবে? এবার সে পেরেকটা ধরে বের করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে লাগল। লগের মধ্যে আটকে থাকা পেরেকটি দুটি লগের মধ্যে খুব শক্তভাবে আটকে আছে, কারণ লগের দুটি পা এটিকে খুব শক্তিশালী স্প্রিং ক্লিপের মতো ধরে রেখেছে। যখন খোঁপাটি নড়াচড়া শুরু করে এবং পিছলে যেতে থাকে, তখন বানরটি তার শক্তিতে খুশি হয়। এত হট্টগোলের মাঝে বানরের লেজ দুটো খুঁটির মাঝখানে এসে পড়েছিল, যা সে টের পায়নি। ক্লিপের মতো যুক্ত ছিল এবং বানরের লেজ মাঝখানে আটকে গেছে। বানর চিৎকার করে উঠল।
তারপর শ্রমিকরা সেখানে ফিরে গেল। তাদের দেখে বানরটি পালানোর চেষ্টা করলে লেজ ভেঙে যায়। সে ভাঙা লেজ নিয়ে চিৎকার করে পালিয়ে গেল।
