দেহি তো কপাল, কা করি গোপাল
দেহি তো কপাল, কা করি গোপাল
এটা অনেক দিন আগের কথা। ব্রাহ্মণ ও ভাটের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। প্রতিদিন সন্ধ্যায় দুজনে দেখা করতেন, সুখ-দুঃখের কথা বলতেন। দুজনের কাছে টাকা না থাকায় দুজনেই ভাবতেন কিভাবে অল্প টাকা আয় করা যায়।
একদিন ভাট বললেন- "চলো, আমরা দুজনেই রাজা গোপালের দরবারে যাই। রাজা গোপাল খুশি হলে। , তাহলে আমাদের অবস্থা ভালো হয়ে যাক।"
ব্রাহ্মণ বললেন - "সে দিলে গোপাল কি করবে"
ভাট বললেন - "না, তাই না। উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ব্রাহ্মণ বারবার একই কথা বলতে থাকে - "দেহি তো কপাল, কা করি গোপাল।"
ভাট বারবার বলতে থাকেন - "রাজা গোপাল খুব উদার রাজা। সে নিশ্চয়ই আমাদের দেবে, চল একবার তার কাছে যাই, খুলি কি করতে পারে-কিছু না। যাও।
এভাবেই ভাট ও ব্রাহ্মণ একদিন রাজা গোপালের দরবারে পৌঁছে নিজ নিজ কথা বলে রাজাকে নিশ্চিত করতে বলতে লাগলেন। .
রাজা গোপাল মনে মনে খুশি হলেন এবং ব্রাহ্মণের উপর রেগে গেলেন। তিনি উভয়কে দ্বিতীয় দিনে দরবারে আসতে বলেন। রাজার দেহরক্ষী ব্রাহ্মণকে চাল, ডাল ও কিছু টাকা দিলেন। তারপর ভাতকে চাল, ঘি এবং একটি কুমড়া দেওয়া হল।
সেই কুমড়ার ভিতর সোনা ভরে গেল।
রাজা বললেন- "এখন যাও, দুজনে খেয়ে নাও।"
ভাট আর ব্রাহ্মণ একসাথে গেলেন। নদীর ধারে পৌঁছে দুজনেই খাবার তৈরি করতে লাগলেন।
ভাট ব্রাহ্মণের দিকে তাকিয়ে ভাবছিলেন- "রাজাও তাকে ডাল দিয়েছিলেন। আমি এই কুমড়াটি ধরেছি। এর খোসা ছাড়তে হবে, কেটে ফেলতে হবে, তারপর এর সবজি হবে। বানানো। ব্রাহ্মণ। খুব মজা। ডাল তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে যাবে। এই কুমড়াটা যদি আমি উপর থেকে খাই, আমার পিঠের ব্যথা আবার উঠবে।" আমাকে মসুর ডাল দিলে খুব ভালো হবে। কুমড়ো খেলে আমার পিঠে ব্যাথা হবে।"
ব্রাহ্মণ ভাতে রাজি হলেন। দু'জনেই নিজেদের খাবার তৈরি করতে লাগলেন। ব্রাহ্মণ খুব খুশি হলেন। তিনি ভাবলেন- দেহি তো কপাল, কা করি গোপাল
কাপড়ে সোনা বেঁধে কুমড়োর তরকারি বানিয়ে খেয়েছেন। কিন্তু কুমড়ার অর্ধেকটা রাজাকে দেওয়ার জন্য রাখা হয়েছিল। তাতেই রাজা গোপাল মহা বিস্ময়ে। তারপরও রাজা বললেন - "দেহী থেকে গোপালের কপাল" - এটা কি ঠিক নয়?
তারপর ব্রাহ্মণ অর্ধেক কুমড়া রাজা গোপালের সামনে রাখল। . তারপর ভাটকে বললেন- "কুমড়ো দিলাম?" ভাট বললেন - "হ্যাঁ, আমি তার কাছ থেকে মসুর নিয়েছি। আমি তাকে কুমড়া দিয়েছি।"
রাজা গোপাল ব্রাহ্মণের দিকে তাকালেন। ব্রাহ্মণ মুচকি হেসে বললেন - "দেহি তো কপাল, কা করি গোপাল।"
