সীমান্তরক্ষী

bookmark

বর্ডার ভিজিল্যান্স
 
 গত কয়েকদিন ধরে বিজয়নগরে নাশকতার ঘটনা বেড়েই চলেছে। রাজা কৃষ্ণদেব রায় এসব ঘটনায় খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক ডেকে এসব ঘটনা রোধের উপায় জানতে চান। শুধু প্রতিবেশী শত্রু দেশের গুপ্তচররাই এ কাজ করছে। তাদের সাথে আমাদের কঠোরভাবে আচরণ করা উচিত, নরমভাবে নয়। কমান্ডারের পরামর্শ। 'সীমান্তে সৈন্য বাড়াতে হবে যাতে সীমান্ত পাহারা যায়।' মন্ত্রী পরামর্শ দিলেন।
 রাজা কৃষ্ণদেবরায় এবার তেনালিরামের দিকে তাকালেন। 'আমার দৃষ্টিতে সর্বোত্তম হবে পুরো সীমান্তে একটি মজবুত প্রাচীর নির্মাণ করা এবং সেখানে সব সময় সৈন্যদের টহল দেওয়া।' তেনালীরাম তার পরামর্শ দিলেন। মন্ত্রীর বিরোধিতা সত্ত্বেও, রাজা কৃষ্ণদেবরায় সানন্দে তেনালিরামের পরামর্শ মেনে নেন। একইভাবে দুই মাস অতিবাহিত হলেও দেয়ালের কাজ আর এগোতে পারেনি। এ খবর রাজা কৃষ্ণদেব রায়ের কাছেও পৌঁছে। তিনি তেনালিরামকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলেন। 
 
 মন্ত্রীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। 'তেনালীরাম, দেয়ালের কাজ এগোল না কেন?' 'দুঃখিত স্যার, মাঝখানে একটা পাহাড় এসেছে, আগে সরিয়ে দিচ্ছি।' 'পাহাড়... পাহাড় আমাদের সীমান্তে নয়।' রাজা বললেন। তারপর মাঝখানে মন্ত্রী বললেন- 'মহারাজ, তেনালীরাম পাগল হয়ে গেছেন।'
 
 মন্ত্রীর বক্তব্য শুনে তেনালীরাম চুপ করে রইলেন। সে হেসে হাততালি দিল। করতালির সাথে সাথে সৈন্য দ্বারা পরিবেষ্টিত বিশজন লোককে রাজার সামনে আনা হল। 'এরা কারা?' রাজা কৃষ্ণদেব রায় তেনালিরামকে জিজ্ঞাসা করলেন।
 
 'পর্বত! তেনালীরাম বললেন- 'এই শত্রুরা দেশের অনুপ্রবেশকারী মহারাজ। দিনের বেলায় যেই দেয়াল তৈরি করা হোক না কেন, এই লোকেরা রাতে তা ভেঙে ফেলত। অনেক কষ্টে এসব মানুষ ধরা পড়েছে। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও পাওয়া গেছে। গত এক মাসে তাদের মধ্যে অর্ধেক পাঁচ-পাঁচবার ধরা পড়লেও….'
 
' মন্ত্রী মহোদয় বলবেন কেন তাদের শাস্তি হয়নি?' কারণ তার সুপারিশে প্রতিবারই এসব লোককে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তেনালীরাম মো. একথা শুনে মন্ত্রীর মুখে বাতাস বইতে শুরু করে। রাজা কৃষ্ণদেব রায় সব বুঝলেন। তিনি মন্ত্রীর কাছ থেকে সীমান্ত পাহারার সমস্ত কাজ নিয়ে তেনালিরামের হাতে তুলে দেন।