সুসান অনুশীলন করার থ্রোয়ে ছিল
সুজন
একলব্য ছিলেন একজন নিম্নবর্ণের ছেলে যিনি অনুশীলনে আচ্ছন্ন ছিলেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে বনে থাকতেন। সে প্রতিদিন তার বাবার সাথে জঙ্গলে যেতেন খাবারের সন্ধানে। একলব্যের বাবা ছুরি দিয়ে শিকার করতেন। একলব্যও ছোরা নিয়ে অভ্যাস করতে বনে যেতেন। এটা ছিল একলব্যের জন্য কঠিন কাজ। একলব্য পাথর দিয়ে ছোট প্রাণীদের লক্ষ্য করা খুব সহজ মনে করেছিলেন। একলব্যও গুলতি দিয়ে পাখিদের আক্রমণ করতেন। একলব্য উঠে দাঁড়িয়ে সেই যুবকদের অনুশীলন করতে দেখতে লাগলেন। কিন্তু সমস্যা ছিল কে তাকে ধনুর্বিদ্যা শেখাবে? সে সময় শুধুমাত্র ক্ষত্রিয় এবং উচ্চবর্ণের লোকদেরই তীরন্দাজ ও যুদ্ধবিদ্যা শেখার অধিকার ছিল। একলব্য খুব খারাপ লাগলো। ভাগ্যকে অভিশাপ দিয়ে সে তার বাড়িতে চলে এল। একলব্য তীরন্দাজে আয়ত্ত করতে চেয়েছিলেন। তার শুটিং খুব ভালো হয়েছে। সে একটি খরগোশকে লক্ষ্য করে এক গুলিতে মেরে ফেলেছিল। সে গুলতির এক ধাক্কায় একজোড়া কবুতরকে স্তূপ করে ফেলেছিল।
একলব্য মনে মনে ভাবতে লাগলেন, আমি যদি তীরন্দাজে পারদর্শী হয়ে যাই, তাহলে আমি হরিণ ইত্যাদির মতো প্রাণীকে সহজেই শিকার করতে পারব। ধনুর্বিদ্যার শিক্ষা গ্রহণে আমার জাত সত্যিই বাধা। একলব্য শীঘ্রই ধনুক বানাতে শিখেছিলেন এবং ধীরে ধীরে কিছু তীরও সংগ্রহ করেছিলেন। একলব্য মনে মনে বললেন- 'আমি গুরু দ্রোণাচার্যের শিষ্য।' একলব্য দ্রোণাচার্যের একটি মাটির মূর্তি তৈরি করে একটি গাছের নিচে রেখেছিলেন। একলব্য গুরু দ্রোণাচার্যের মাটির মূর্তির কাছে প্রণাম করে ধনুর্বিদ্যার অনুশীলন শুরু করেন। তীরন্দাজ শেখা ছিল অত্যন্ত কঠিন কাজ। একলব্য হাল ছাড়লেন না এবং প্রতিদিন কঠোর অনুশীলন করতে লাগলেন। নিরন্তর প্রচেষ্টায় একলব্যের ধনুর্বিদ্যার উন্নতি হতে থাকে। নিশানায় ছায়া দেখেই নিশানা করতেন একলব্য। পশু-পাখির আওয়াজ শুনে একলব্য তাদের লক্ষ্য করতেন। ধীরে ধীরে একলব্য অর্জুনের মতোই একজন মহান ধনুর্ধারী হয়ে ওঠেন। তিনি তার কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার দ্বারা প্রমাণ করেছেন যে 'কার্ট-কার্ট অধ্যাস কে জাদমতি গরম সুজন' মানে 'অবিরাম অনুশীলন প্রতিভাকে নিয়ে যায়। অনুশীলনের মাধ্যমে যে কোনও শিল্পে দক্ষতা অর্জন করা যায়।
