চতুরভাবে কঠিন কাজও সম্ভব
চতুরভাবে কঠিন কাজও সম্ভব
এক বনে মহাচতুরক নামে এক শিয়াল বাস করত। একদিন সে বনে একটি মৃত হাতি দেখতে পেল। তার বাহু ফুলে উঠল। তিনি হাতির মৃতদেহের উপর দাঁত ছিটিয়েছিলেন কিন্তু পুরু চামড়ার কারণে তিনি হাতিটিকে ছিঁড়তে ব্যর্থ হন। এগিয়ে গিয়ে তিনি সিংহকে স্বাগত জানিয়ে হাত জোড় করে বললেন, হে প্রভু, আমি তোমার জন্য এই হাতিটিকে মেরেছি, এই হাতির মাংস খেয়ে আমার একটা উপকার করুন। সিং বললেন, "আমি কারো হাতে মারা পশু খাই না, নিজে খাও।"
শেয়াল মনে মনে খুশি ছিল, কিন্তু তার হাতির চামড়া ছিঁড়ে ফেলার সমস্যা তখনও সমাধান হয়নি।
কিছুক্ষণ পর সেই দিকে একটা বাঘ এল। মৃত হাতিকে দেখে বাঘ তার ঠোঁট চেটে দিল। শেয়াল তার অভিপ্রায় টের পেয়ে বলল, চাচা, আপনি এই মৃত্যুতে এলেন কী করে? সিংহ এটাকে মেরেছে এবং আমাকে পাহারা দিতে বলা হয়েছে। যে বাঘ হাতিকে খায় আজ সে অবশ্যই মেরে ফেলবে।"
একথা শুনে বাঘটি পালিয়ে গেল কিন্তু তখন একটা চিতা দেখা দিল। শিয়াল ভেবেছিল চিতার ধারালো দাঁত আছে। আমার এমন কিছু করা উচিত যাতে হাতির চামড়া ছিঁড়ে যায় এবং মাংসও খায় না। কেউ কেউ ক্ষুধার্তও মনে হচ্ছে।" সিংহ এটা আমার উপর অর্পণ করেছে, তবে আপনি এটি থেকে কিছু মাংস খেতে পারেন। সিংহকে আসতে দেখলেই আমি তোমাকে খবর দেব, তুমি ছুটে যাও।" হাতির মাংস খেতে শুরু করার সাথে সাথে ওপাশের দিকে তাকিয়ে শৃগাল ভয় পেয়ে বলল, "ভাগো সিং আসছে"। একথা শুনে চিতা ছুটে চলে গেল। শিয়াল খুব খুশি হল। সে অনেক দিন ধরে সেই বিশাল জন্তুটির মাংস খেয়েছে। তাই বলা হয়, বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কঠিনতম কাজগুলোও সম্ভব হয়ে ওঠে।
