ধোয়ার কুকুর ঘরেরও না ঘাটেরও নয়

bookmark

ধোয়ার কুকুর না বাড়ি না ঘাট কা
 
 একবার দশম শ্রেণির হিন্দি শিক্ষিকা তার ছাত্রকে বাগধারা শেখাচ্ছিলেন। তারপর ক্লাসে একটা বাক্য আসে “ধোবি কা কুত্তা না ঘর কা না ঘাট কা”, এর অর্থ কোন ছাত্রই বুঝতে পারেনি। তাই শিক্ষিকা তার ছাত্রকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য তার ছাত্রকে গল্প আকারে একটি উদাহরণ দেওয়াই সঙ্গত মনে করলেন। সজ্জনপুর নামে একটি শহরে হ্যাঁ, তিনি খুব ভালো ক্রিকেটার ছিলেন। তিনি এত ভালো খেলোয়াড় ছিলেন যে ভারতীয় ক্রিকেট দলে তার থাকার সম্ভাবনা ছিল। ক্রিকেট খেলতেন কিন্তু অন্যের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে পছন্দ করতেন। তার হৃদয় দৃঢ় ছিল না, অন্য লোকেরা যা করত সে তাই করতেন। এটা দেখে তার মা তাকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন যে এই অভ্যাস তার জীবনে কতটা ভারী হতে পারে, কিন্তু সে বুঝতে পারেনি। সময় অতিবাহিত হতে থাকে এবং তার নিজের কাজ না করে অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ করার অভ্যাস হয়ে যায়। যখনই তিনি ক্রিকেট অনুশীলন করতেন, তখনই তার অন্যান্য বন্ধুরা বিভিন্ন খেলার অনুশীলন করতেন। তার চঞ্চল মনের কারণে, তিনি ক্রিকেট অনুশীলনে যাননি বরং অন্যান্য বন্ধুদের সাথে অন্যান্য বিভিন্ন খেলা খেলতেন। গয়া শহরের সমস্ত খেলার জন্য যেখানে যে কেউ নির্বাচিত হবে সে ভারতের জাতীয় দলে খেলতে পারবে। এটা শুনে সবাই খুব খুশি হল এবং সেই দিন থেকেই সবাই তাদের খেলায় বাছাই করার জন্য কঠোর পরিশ্রম শুরু করল, সবার হাতে মাত্র দুই দিন। রাজুও তার অনুশীলন শুরু করেছিল কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে তার খেলা অনুশীলনে না গিয়ে অন্য খেলার অনুশীলনে যাওয়ার কারণে সে তার দুর্দান্ত ফর্ম হারিয়েছে। দুই দিন পর বাছাইয়ের সময় এল, রাজু অনেক চেষ্টা করেও অনুশীলনের অভাবে সে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি এবং তাকে নির্বাচিত করা হয়নি, তাকে অন্য খেলায় নির্বাচিত করা হয়নি কারণ সেসব খেলা কেবল তার কাছেই আসত। সে কোন খেলায় পারদর্শী ছিল না। যার কারনে সে কোন খেলায় সিলেক্ট হয়নি এবং তার অন্য সব বন্ধুরা কোন না কোন খেলায় সিলেক্ট হয়ে গেছে কারণ তারা দিনরাত পরিশ্রম করে শেষ পর্যন্ত রাজুকে মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকতে হয় এবং সে হয়ে যায় ধোপাদের কুকুর। যে যার না ঘরের না ঘাটের। শিক্ষিকাকে তার ছাত্রদের কাছে একটাই বার্তা দিতে হয়েছিল যে, তারা জীবনে যা-ই করুক না কেন, তারা যেন সেদিকেই মনোযোগ দেয় এবং অন্যদের দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়, তা না হলে তারা এমন এক ধোপা কুকুরের মতো হয়ে যাবে যেটি ঘরেরও নয়, ঘাটেরও নয়। .